
ঢোল আমাদের প্রিয় বাদ্যযন্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বাদ্য যন্ত্র। একটা সময় ছির ঢোল ছাড়া আনন্দ প্রকাশের কথা ভাবাই যেত না। আর সে জন্যেই গ্রামে গঞ্জে গড়ে উঠেছিল বাদক দল, বায়ান গোষ্ঠি, ব্যান্ড পার্টি। আর এখনকার দিনে আপনি শেষ কবে ঢোলের বাজতে দেখেছেন। আমি যতদূর মনে পড়ে অনেক দিন শোনি নাই ঢোলের শব্দ। ঢোর তার গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে এটা ভাবার কোন কারন নেই। ঢোল মূলত তার নিজের স্বক্রীয়তাকে ধরে রেখে আগের যায়গায়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আজ কেউ ঢোল বাজাক, কিছু ক্ষণ দাড়িয়ে হলেও তা শোনবেন। আমরা ভুলে গেছি আমাদের ঐতিহ্য তাই বৈদ্যুতিক যন্ত্র দখল নিয়ছে ঢোলের।
হতাশ হওয়ার কিছু নেই, আমার দের একটা বড় অংশ এখন ঢোল বেশ বালই বাজানো শিখেছে, ঢোল যে বাজাতে পারে না তার বাজার নেই। যার বাজার নেই তার চাহিদাও নেই। না আমি লাঠি দিয়ে বুকিয়ে ঝুলিয়ে যে বাদ্যযন্ত্র বাজায় তার কথা বলছি না, বলছি আমাদের মুখ দিয়ে আমরা যখন নিজের বা বসের গুন কর্তীণ বাজায় তার কথা। আজ কাল এতটাই ঢোল পেটান হয় যে নিজের মুখ হতে নির্গত কথা নিজের কানেই পৌছায় না। অন্যেরটা কখন শোনবে। তবে অন্যেরটা শোনা বোকাদের কাজ, আমাদেরমত প্রোএ্যাক্টিভ পেলাপাইনদের জন্য নয়। আমরা নিজেদের কূয়োয় নিজেরাই রাজা নিজরাই প্রজা। আমাদের ঢোলের শব্দে এমনটা সুরের তৈরীর হয় যেখানে মনে হয় আমি বা আমার বস কিংবা আমাদের চাইতে ভাল অবস্থানে কেঊ নেই।
একবার ঢোল বাজানটা বন্ধ করে দেখেন আপনার অবস্থান কোথায় বুঝতে পারবেন। এটা ভাবার কোন কারন নেই যে আপনি আজীবিন এই ঢোল পেটাতে পারবেন। একবার আপনাকে থামতেই হবে, আর তখনই আপনার ঢোল ফেটে যাবে আপনার কপালেনর মত যা আর জোড়া লাগবে না।