বর্ষা কালে যখন প্রচুর বৃষ্টি হয় তখন আমাদের গ্রামের দক্ষিণ ও পশ্চিমে যে আবাদি জমি আছে তা প্রায় সবই পানিতে ডুবে যায় আর তার আয়তনও নেহাত কম নয়। দুই বর্গ কিলোমিটারত হবেই। পশ্চিমে সানাকৈর হতে পূর্বে করগ্রাম পর্যন্ত। বিকালে বেলা মানে সূর্য ডুবার আগ মুহুর্তে পশ্চিমের ব্রীজ পারে যেতে ভালই লাগে। দুই পাশে জল আর মাঝ খান দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে রাস্তা চলে গেছে। সন্ধ্যার সমসয় এখানে অনেকই আসে ঘোরতে, না বাইরে থেকে না এলাকার লোকেরাই তবে কম বয়সীদের সংখ্যাটাই বেশি। কারনটাও সহজ, এখানে নেই কোন মুরুব্বীদের নজরদারি। মনে খুলে কথা বলা দরকার? ব্রীজ পাড়ে চলে যাও, ফ্রেন্ডকে নিয়ে আর …।
আমিও সেদিন গিয়েছিলাম। বর্ষাকাল, চার পাশে প্রচুর জল, সন্ধ্যা হয়েছে মাত্র। পূব আকাশে প্রায় পূর্ণিমার চাঁদ আর পানিতে তার আলো সৈন্দর্য্য ছড়াচ্ছে। পানির ঢেউয়ের সাথে চাঁদের আলোর যে উঠা নামা তা দেখে লাগবে যে কারও। আমারও ভাল লেগেছিল আর সাথে একটা চিন্তাও এসেছিল।
যেই খানটাই চাঁদের আলোর সাথে জল খেলা করছিল সেই খানে যদি নৌকাতে একটি নব দম্পতি থাকত তাহলে কেমন লাগত। সেই সময় জলে কেউ ছিল না তবে কেন মাথায় এই চিন্তাটা আসলো তা জানি না। আমার সাথে যে ছিল তাকে আমি প্রশ্নটা করেছিলাম। তবে বলার মত কোন উত্তর পাইনি। সেই দিন থেকে একটা চিন্তা আছে মাথায়- আমার যে হবে তাকে নিয়ে একদিন রাত্রে, এমন এক পূর্ণিমা রাত্রে নৌকায় সময় কাটাবো, দেখবো কেমন লাগে। সেদিন যে ছবি মনে মনে কল্পনা করেছিলাম তার বাস্তবায়ন যদি করতে পারি তবে আমার আরেকটা সপনের (আসল বানান লেখা যাচ্ছেনা) বাস্তবায়ন হবে।
আমার একটা বান্ধবী(মোবাইল বান্ধবী ) ছিল। তার সাথে একদিন এই কথাটা শেয়ার করি। সাধারনত আমার কথায় সে কোন গুরুত্ব দেয়না। আমার কোন কথাতেই সে আলাদা কিছু পায় না। এটা শোনার পর সেদিন সে আলাদা কিছু পেয়েছিল। সে এর সাথে একটি জিনিস যোগ করেছে। তা হলে মেয়েটার পরনে যদি সাদা শাড়ি থাকে তাহলে আর ভাল লাগবে। ঠিক পরীদেরমত। পরী সেও দেখে নাও আমিও না তবে দু’জনেই মেনে নিয়েছি কথাটা। আর হা আমি তার নাম দিয়েছি “সাদা পরী”।