আমি এর প্রথম সংবাদটাও পড়ে ছিলাম ২০০১ এ। তার পরে যখন জাবিতে ভর্তি হয় উল্লাপাড়ার একজন ক্লাসমেট ছিল আমার তাকে জিজ্ঞাসও করেছিলাম এ ব্যাপারে। কিন্তু তার কথার সাথে এখানে কোন মিল পাচ্ছি না। যাই হোক ….. একটা আগ্রহ ছিল। ওকে আবার দেখলে জিজ্ঞাস করবো আমি কোনটা সত্য।
২০০১ সালে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা
উল্লাপাড়ার সেই ধর্ষণ মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
প্রথমআলো প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ ও উল্লাপাড়া প্রতিনিধি | তারিখ: ০৫-০৫-২০১১
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের আলোচিত স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলায় ১১ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এই রায় দেন। রায়ে জরিমানার অর্থ আদায়ের পর তা মামলার বাদী ওই মেয়েটিকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে আবদুল জলিল, আলতাফ হোসেন, আবদুর রউফ, হোসেন আলী, লিটন মিয়া ও ইয়াসিন আলী কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অন্য পাঁচ আসামি আবদুল মোমিন, আবদুল মিঞা, আলতাফ হোসেন-২, জহুরুল ইসলাম ও বাবলু মিয়া পলাতক রয়েছেন। আসামিদের সবার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামে। তাঁরা বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থক।
মামলায় তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং একজন চিকিৎসকসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদীপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি শেখ আবদুল হামিদ, এপিপি কায়সার আহমেদ, এপিপি আনোয়ার পারভেজ ও জাহিদ হোসেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি সামসুল হক।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৮ অক্টোবর পূর্ব দেলুয়া গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে আসামিরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। ১০ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা উল্লাপাড়া থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ২৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে আরও একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ৯ মে আদালতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
শুনানি চলাকালে তৎকালীন জোট সরকারের সাংসদ এম আকবর আলী মামলা পুনঃ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থাকে পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শহীদুল হক ওই মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এতে মূল আসামিদের সঙ্গে উল্লাপাড়ার সাবেক সাংসদ প্রয়াত আবদুল লতিফ মির্জাসহ আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ধর্ষিত কিশোরীর বাবা এ সম্পূরক অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। পরে বিভিন্ন পর্যায়ে শুনানির সময় ঢাকার উচ্চ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবীরা সিরাজগঞ্জে এসে বাদীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের নভেম্বরে সম্পূরক অভিযোগপত্র বাতিল করা হলে মামলাটি মূল ধারায় ফিরে আসে। কিন্তু এর মধ্যে মূল আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে বিচারিক আদালত থেকে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ জানান, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মামলাটির বিভিন্ন আলামত ও কাগজপত্র ফাইল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে পুনরায় সেসব আলামত ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সামসুল হক জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
প্রতিক্রিয়া: রায়ের ব্যাপারে মামলার বাদী সেই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘রায়ে আমি খুশি, তবে ধর্ষক দুজনের ফাঁসি হলে আরও খুশি হতাম। সরকারের কাছে দাবি জানাই, আর যেন কোনো নারীকে বিচারের জন্য ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করতে না হয়।’
ছাত্রীর মা বলেন, ‘এই মামলায় আরও আসামি ছিল। তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।’
মামলায় তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং একজন চিকিৎসকসহ মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বাদীপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি শেখ আবদুল হামিদ, এপিপি কায়সার আহমেদ, এপিপি আনোয়ার পারভেজ ও জাহিদ হোসেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি সামসুল হক।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ৮ অক্টোবর পূর্ব দেলুয়া গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারের অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে আসামিরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। ১০ অক্টোবর ওই ছাত্রীর বাবা উল্লাপাড়া থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে ২৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জের আমলি আদালতে আরও একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ৯ মে আদালতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
শুনানি চলাকালে তৎকালীন জোট সরকারের সাংসদ এম আকবর আলী মামলা পুনঃ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থাকে পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শহীদুল হক ওই মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এতে মূল আসামিদের সঙ্গে উল্লাপাড়ার সাবেক সাংসদ প্রয়াত আবদুল লতিফ মির্জাসহ আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ধর্ষিত কিশোরীর বাবা এ সম্পূরক অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। পরে বিভিন্ন পর্যায়ে শুনানির সময় ঢাকার উচ্চ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবীরা সিরাজগঞ্জে এসে বাদীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের নভেম্বরে সম্পূরক অভিযোগপত্র বাতিল করা হলে মামলাটি মূল ধারায় ফিরে আসে। কিন্তু এর মধ্যে মূল আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। এর আগে বিচারিক আদালত থেকে এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ জানান, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মামলাটির বিভিন্ন আলামত ও কাগজপত্র ফাইল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। অনেক কষ্ট করে পুনরায় সেসব আলামত ও কাগজপত্র সংগ্রহ করে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সামসুল হক জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
প্রতিক্রিয়া: রায়ের ব্যাপারে মামলার বাদী সেই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘রায়ে আমি খুশি, তবে ধর্ষক দুজনের ফাঁসি হলে আরও খুশি হতাম। সরকারের কাছে দাবি জানাই, আর যেন কোনো নারীকে বিচারের জন্য ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করতে না হয়।’
ছাত্রীর মা বলেন, ‘এই মামলায় আরও আসামি ছিল। তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।’