২০১১ এর ডিসেম্বরে READ এ যোগদানের মাধ্যমে আমার পেশার শুরু। সারাক্ষণ ভয়ে বসের রুমে যাওয়া নিয়া এবং ভয়ের কারনের জানা জিনিসও পারতমা তার সামনে ঠিতমত করতে। আরো ভুল হতো তাতে এবং বকার পরিমান বাড়ত আরও বেশি। চাকুরিটা পরিসংখ্যানের নাসির ভাইয়ের কল্যানে পাওয়া এবং এখন আমার সেই টেবিলে বসে বুবলী আপু। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র আপু। তবে পেশায় আমার আগেই সে জয়েন করেছে সেখানে। জানুয়ারিতে যখন চাকুরিটা ছেড়ে দিব দিব করছি বসের বকুনির ভয়ে ঠিক তখনই সুদীর্ঘ খড়ার পর ২২ জানুয়ারি বর্তমান পেশাটা সুসংবাদ পায় সেই সুবাদে। মোটামুটি ঢাকার বসবাস ঘোটানোর চিন্তা করে ফেলছিলাম। আমার একটা টিউশনিকে যখন না করতে গিয়েছিলাম তখন আমার ছাত্রী শোনে বলেছি যে আমি নাকি এলাকায় গিয়ে সবজি বিক্রি করবে তাই ঢাকা ছাড়ছি। প্রাপ্তি আমি কিন্তু এখনো সবজি বিক্রি করা শুরু করি নাই। চাকুরিটা না হল তখন হয়তা বা করতে হত।(2013/01/12)
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তে সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগদানের পর ৯ ফেব্রুয়ারি বর্তমানের গাছবাড়িতে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। O-L-I অলি(অলিউর রহমান) আমাদের ম্যানেজার ছিলেন। উনি কথার মানুষ কথা বলতে ভালবাসেন। আর মানুষকে খুশিও করতে পারেন কথা বলে। বয়স ২৫ বছরের উপরে হয়েছে চাকুরির। উনার মাঝে একটা জিনিস ছিলো তা মানুষকে সন্মান করতে পারতেন। একটু বেশিই করতেন প্রয়োজনের তোলনায়। উনার প্রযুক্তিগত জ্ঞানের উদাহরণ হল যে “মনিটর হচ্ছে কম্পিউটার” এপর্যায়ে। অনেক দৌড়ঝাপ করে বাড়ির কাছে যাওয়া চেষ্টাটা সফল করেন অক্টোবর মাসে। উনার বদলির অর্ডার হয়েছিল তারও আগে কিন্তু যাকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সে না আসায় যেতে পারতেছিলেন না। আর এক পর্যায়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে যাওয়ার প্রায়তারা করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তার আর প্রয়োজন হয় নাই মি ফয়েজ আহমেদ এর নিয়োগের কারনে। উনি সম্ভবত ৩০-১০-২০১২ তারিখে জয়েন করেন যেদিন আমার বিয়ের দিন ছিল। যাই হোক এখনও আছেন উনি। উনি আসার পরে শাখার যতটুকু পরিবর্তন আসার কথা ছিল ততটুকু হয়নি। একটু বেশি সাবধানি আর হিসাবি, নতুন হয়ত তাই কারণ নতুনদের উপর মনোযোগ সবার থাকে। শাখার সবচাইতে ক্ষতিটা হয়েছে ঢালি বাবুর উনাকে ধমক দেওয়া কেউ এসেছে আর সোয়া বার কাল চলছে মেইড-ইন-চাঁদপুর এর।
৩০ ডিসেম্বর যখন ক্লোজিং নিয়ে ব্যস্ত তখন এখলাজ ভাই ম্যানেজারের ছুটির দরখাস্তটা এনে দিয়ে যান তাতে কবে থেকে কবে ছুটি নিচ্ছেন তা উল্লেখ করেন নাই শুধু একটা তারিখ দেওয়া আছে উনি কবে তা দিচ্ছেন আমাকে। কোন প্রকার প্রশসনিক সিদ্ধান্ত বা খরচের ক্ষমতা আমাকে দেওযা হয়নি। তার মানে দাঁড়াচ্ছে আগে শাখায় ভয় পাওয়ার কেউ ছিল কিন্তু এখন থাকছে না তার মানে অনেকের সেচ্ছাচারিতা একটু বাড়ল। আমার কাজ এবং ম্যানেজারের কাজও আমাকে করতে হবে। যা ভেবে ছিলাম তার চাইতে চাপটা অনেক বেশি ছিল। বছর শেষ আঞ্চলিক কার্যালয় এটা চায় ওটা চায় যার সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নাই আবার তাকেও লাইনে পাওয়া যায় না। দুইদিন খুব মানুষিক চাপের মাঝে থাকার পর ছেড়ে দিয়েছি যে যার মত চলুক আমি আমার মত চলব। এখনও চলছি সেই ভাবে। আজও আসেন নি উনি এবং ২০-০১-২০১৩ এর আগে আসার কোন সম্ভাবনা নাই তার মানে ২১ দিন ছুটি কাটাচ্ছেন উনি। আর আমি এই শাখার বৈঠাহীন মাঝি।
প্রাপ্তিঃ
- OLI অলির ভূয়শী প্রশংসা
- মোটামুটি একটা পরিচিত
- অসহনীয় চাপ (ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপকের আমলে)
- এড়িয়ে যাওয়া
- কাওকে কিছু না দিয়ে খুশি করার চেষ্টা করা
- আর অনেক কিছু যা ধৈর্য্যকে বাড়াচ্ছে
(২০১৩/০১/১৪)