ঘটনাটি গত ১১-০৩-২০১৫ ইং তারিখে। বরাবরেইমতই আমার শাখায় সেদিন কোন ক্যাশ নেই। কিছু ছেড়া টাকা ছাড়া। সদ্য ইতালী ফেরত এক স্বাস্থ্যবান সুদর্শন যুবক আসছে রেমিট্যান্সের টাকা নিতে। যে থানে আমার দশ হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই সেখানে কিভাবে দুই লাখ টাকা দিব! রেমিট্যান্স কর্মকর্তা ভাউচার লিখে আমার কাছে দিলে তাকে জিজ্ঞাস করলাম যেখানে একটা টাকা নেই সেখানে সে এতবড় এ্যামাউন্ট কিভাবে দিতে যাচ্ছে। ত-কর্মকর্তা জবাব দিল যে গ্রাহক টাকা ক্যাশ নিবে না হিসাবে জমা দিবে। আমি কনফার্ম হওয়ার জন্য গ্রাহক কে জিজ্ঞাস করলাম, উত্তরে গ্রাহক বলল না সে ক্যাশ টাকাই নিবে। পূনরায় আমার কর্মকর্তাকে আবার জিজ্ঞাস করলাম যে তিনি কি গ্রাহককে বলেছে কি না যে ক্যাশ দিতে পারবো না। কর্মকর্তা বলল হিসাবে জমা দিবে শর্তেই ভাউচার লিখেছে। মাঝে অনেক ঘটনা, তবে মূল ঘটনা হল- গ্রাহক বলছে সে দেশে আশার সময় নগদ টাকা ইতালীতে জমা দিয়ে আসছে আর আমরা কেন নগদ দিতে পারব না, ঐখানকার এজেন্ট তাকে বলেই দিছে যে এখানে টাকা জমা দেওয়ার সাথে সাথেই দেশে টাকা চলে যাবে। তার কথা মত গ্রাহক ক্যাশ চাইছে আমাদের কাছে। আমি তাকে বুজাতে ব্যর্থ হলাম যে বিদেশ হতে ক্যাশ টাকা আসে না প্রিন্টেড কিছু ডকুমেন্ট ছাড়া, সব শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে আমার কর্মচারী কে বললাম বিষয়টা ফয়সালা করতে। আর তিনি দক্ষতার সহিত সমাধান বের করল এবং গ্রাহক কে বুঝাতে পারল। কথায় আছে না জহুরী জহর চিনে আর ….. চিনে কচু।

প্রকৃত ঘটনা হলঃ গ্রাহক আমার কর্মকর্তাকে ঠিকই বলেছে যে হিসাবে জমা রাখবে।তার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমরা টাকা টা তাকে আসলেই দিচ্ছি কি না কারন তাকে ত ক্যাশ দেখাচ্ছি না, একটা সাদা কাগজ দিয়ে তাকে বলছি তার টাকা আসছে আর আরেক কাগজ দিয়ে বলছি হিসাবে জমা হয়েছে, বিষয়টা আসলেই আমার কাছে ক্লিয়ার না কাগজ জমা দিয়ে হিসাবে টাকা জমা হয় কি ভাবে! তাই তিনি ক্যাশ আগে হাতে নিয়ে দেখবেন তার পর হিসাবে জমা দিবেন।

১২-০৩-২০১৫ ইং অনেক গুলো ঘটনার একটা। যথারীত আজও ক্যাশ নেই কা্‌উন্টারে। স্থানীয় হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কল আমার ক্যাশিয়ার ধরিয়ে দিলেন আমাকে। সালাম দিয়ে জিজ্ঞাস করলাম কি সমস্যা। রাগত স্বরে জানতে চাইল টাকা না দিয়ে তার লোক কে ফেরত দেওয়া হলো কেন। আমি বললাম ক্যাশ নাই। তার স্বর আরো চরমে এবার বলল আড়ের ম্যানেজার টাকার চাওয়ার আগে দিয়া দিত আর আইসা টাকা দিতে সমস্যা করি। টাকা দিতে সমস্যা হয় তা আমি উপরে জানাইছি কি না তা জানতে চাইল, আমি বললাম ইতিমধ্যে দুই বার জানানো হয়েছে। তিনি আবার জানতে চাইল টাকা কখন দিতে পারব? আমি বললাম পাঁচটা মিনিট পরে কল দেন আমি আপনাকে কনফার্ম করতেছি কথন দিতে পারব। আমার এই কথায় উনি কি বুঝছেন জানি না, তবে এই খানে আমার ত মনে হয় না তাকে অপমান করারমত কিছু বলেছি।সাথে সাথেই শুরু হল সিলেটি মাত, আমার গোষ্টি উদ্ধার করার পর কল কেটে দিল। আমি কোন জবাব দিইনি তাকে- শুধু একটা বিষয় ভাবছিলাম তখন একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাংলা ভাষায় কথা বুঝে না নিজের আঞ্চলিক ভাষা ছাড়া তাহলে সেই খানকার সাধারন পাবলিকের কি অবস্থা হবে?